সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন
শফিউল আলম, বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা: বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত উপজেলা সদর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনলেন ছাত্র-ছাত্রী, এলাকাবাসী, অভিভাবক ও সচেতন মহল। বুধবার সকাল ১১টায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রেরিত লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাদী-বিবাদীদের উপস্থিতিতে তদন্তে আসেন উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মোঃ মাহমুদুল হাসান। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, উপজেলা সদর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও স্বৈরাচারী পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। বার বার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রেহানা আক্তার কর্তৃক ছাত্র-ছাত্রী, ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের সাথে অসৌজন্যমূলক, অশোভন আচরণ ও গালিগালাজসহ নানা স্বৈরাচারী আচরণে লিপ্ত থাকলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিপাত হচ্ছেনা। এহেন কর্মকাণ্ডে শিক্ষক রেহানা আক্তারের অনৈতিক আচরণে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। তার বিরুদ্ধে নানা অপকর্ম, স্বেচ্ছাচারিতা, অর্থলোপাট, বিকৃত মস্তিস্কের মানসিকতাসহ কুটচরিত্রের বহিঃপ্রকাশের পরও কিভাবে এই প্রধান শিক্ষক (ভাঃ প্রাঃ) এই পদে ও উক্ত স্কুলে বা যেখানে কিনা উপজেলা সদরের শিক্ষিত মানুষদের বসবাস, তাদের চোখের সামনে বারবার অসদাচরণ করে যাচ্ছেন। এটি একটি দৃষ্টতা নয়তো উর্ধ্বতনদের যোগসাজস, নাকি মনে করব স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতা। ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাসূলভ পরিবেশ রক্ষার্থে শীঘ্রই তাকে অপসারণ করা অতিব জরুরী দাবী পেশ করে লিখিতভাবে। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হাসান জানান, আমি আজ সকাল ১১টায় উপজেলা সদর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকগনের সামনে উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনি। অভিযোগকারীদের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করি এবং বিষয়টি এখনও তদন্তনাধীন।